মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ: কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? সম্পূর্ণ গাইড

সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াতে, আকাশের সাথে মিতালী পাততে কার না ইচ্ছে করে? ইট-পাথরের এই নগর জীবনে মেঘ ছুঁয়ে দেখার সাধ কেবল কল্পনাতেই রয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি, স্বপ্নের সেই মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যেতে, মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াতে আমাদের দেশেই রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এক স্থান? বলছি, সাজেক ভ্যালি-র কথা।

সাজেক ভ্যালি-কে বলা হয় বাংলাদেশের ‘মেঘের রাজ্য’। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য যেন ঢেলে সাজিয়েছে সাজেক ভ্যালি-কে। কেবল মেঘের ছুটোছুটিই নয়, প্রকৃতির সকল অপরূপ মহিমার দেখা মিলবে এখানে। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ আপনার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। শুধু তাই নয়, সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন।

এই গাইডে আমরা জানবো, কীভাবে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি, মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি-তে, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন, আশেপাশের দর্শনীয় স্থান, খরচ – এক কথায় সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এর আদ্যোপান্ত।

সাজেক ভ্যালি পরিচিতি

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি পাহাড়ের সৌন্দর্য

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সাজেক ভ্যালি-কে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাজেক ভ্যালি, বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন, যা তার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং মেঘের লুকোচুরি খেলার জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন, যার আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গকিলোমিটার। সাজেক ভ্যালি-র অবস্থান মিজোরাম সীমান্তের উত্তরে। এর উত্তর-দক্ষিণে যথাক্রমে ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের লংগদু অবস্থিত। পূর্ব-পশ্চিমে রয়েছে ভারতের মিজোরাম ও বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি। রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এর জন্য খাগড়াছড়ি হয়ে যাওয়াই সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম।

খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক ভ্যালি-র দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। তবে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা হয়ে সাজেক ভ্যালি গেলে এর দূরত্ব হবে ৪৫-৫০ কিলোমিটার। দীঘিনালা থেকে সাজেক যাওয়ার পথে প্রথমে ১০নং বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প পড়বে। এই ক্যাম্প থেকেই সাজেক ভ্যালি প্রবেশের অনুমতি নিতে হয়। সাজেক ভ্যালি-তে প্রবেশের পূর্বে আপনাকে কাসালং ব্রিজ এবং কাসালং নদী পার হতে হবে।

সাজেক ভ্যালি-র প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গ্রামটি সাজেক ভ্যালি-র সবচেয়ে প্রাচীন গ্রাম। রুইলুই পাড়ার গোড়াপত্তন হয় লুসাইদের হাত ধরে। বর্তমানে এখানে লুসাই, পাংকুয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাস। রুইলুই পাড়ার প্রধান লাল থাংগা লুসাই।

রুইলুই পাড়া থেকে অল্প দূরেই মূল সাজেক ভ্যালি। রুইলুই পাড়া এবং সাজেক ভ্যালি-র মাঝে অবস্থিত কমলক ঝর্ণা, যা স্থানীয়দের কাছে পিদাম তৈসা ঝর্ণা কিংবা সিকাম তৈসা ঝর্ণা নামে পরিচিত। এই ঝর্ণাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি পাহাড়

সাজেক ভ্যালি-র শেষ গ্রাম কংলক পাড়া। এই গ্রামের প্রধানও লুসাই সম্প্রদায়ের, যার নাম চৌমিংথাই লুসাই। কংলক পাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ উঁচুতে অবস্থিত। যদিও এর সঠিক উচ্চতা এখনও মাপা হয়নি। কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড়সহ অন্যান্য পাহাড়গুলো খুব সহজেই দেখা যায়।

কংলক পাড়ার পরেই সাজেক ভ্যালি-র শেষ প্রান্তে অবস্থিত সাজেক বিজিবি ক্যাম্প। নিরাপত্তাজনিত কারণে এখানে সবসময় যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায় না। তবে অনুমতি পেলে অবশ্যই লুসাই পাহাড় দেখে আসা উচিত। কারণ, এখান থেকেই কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি।

সাজেক ভ্যালি থেকে কংলক পাড়ার মাঝে হাজাছড়া ঝর্ণা নামে আরেকটি মনোরম ঝর্ণা রয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ফেরার পথে দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার ঘুরে আসতে পারেন। এই স্থানগুলোতেও রয়েছে মায়াবী ঝর্ণা ও সবুজের সমারোহ। সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ায় দেখুন।

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ: কীভাবে যাবেন?

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এর পরিকল্পনা করছেন? ঢাকা থেকে কীভাবে যাবেন, কত খরচ পড়বে, কোন পরিবহন ভালো হবে – এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন? তাহলে এই অংশটি আপনার জন্য।
ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি যেতে চাইলে, আপনি বাস, জিপ (চাঁন্দের গাড়ি), মাইক্রোবাস, সিএনজি, এমনকি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পছন্দ এবং সুবিধা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন যেকোনো বাহন।

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির মায়াবী পাহাড়

বাস ভ্রমণ:

ঢাকা থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ি যায় এমন বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে হানিফ, শ্যামলী, ঈগল, শান্তি পরিবহন উল্লেখযোগ্য। এসব বাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে নন-এসি ৫২০-৭০০ টাকা এবং এসি ৮০০-১২০০ টাকা। যদি সরাসরি দীঘিনালা যেতে চান, তাহলে শান্তি পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৫৮০-৬০০ টাকা (নন-এসি)। এছাড়াও সেন্টমার্টিন পরিবহন এবং বিআরটিসি-এর এসি বাস সার্ভিসও রয়েছে।

জিপ/ চাঁন্দের গাড়ি:

খাগড়াছড়ি কিংবা দীঘিনালায় পৌঁছে সেখান থেকে রিজার্ভ জিপ/ চাঁন্দের গাড়িতে করে সাজেক ভ্যালি যেতে পারবেন। স্থানীয়ভাবে এই জিপগুলো “চাঁন্দের গাড়ি” নামে পরিচিত। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। একটি চাঁন্দের গাড়িতে ১০-১৫ জন যাত্রী উঠতে পারে। পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৮,০০০-১০,০০০ টাকা (সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসা সহ)। একদিনের বেশি থাকতে চাইলে ভাড়ার পরিমাণ বাড়বে।

মাইক্রোবাস:

যদি আপনাদের ভ্রমণসঙ্গীর সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রোবাস ভাড়া করেও সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন। এক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি পড়বে, তবে যাত্রা আরামদায়ক হবে।

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি পাহাড় ভিউ

সিএনজি:

ভ্রমণসঙ্গীর সংখ্যা কম হলে (২-৩ জন) খাগড়াছড়ি কিংবা দীঘিনালা থেকে সিএনজি রিজার্ভ করেও সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন। তবে সিএনজি-তে ভাড়া তুলনামূলক বেশি পড়বে (৩,০০০-৪,০০০ টাকা)।

মোটরসাইকেল:

মোটরসাইকেলে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করা সম্ভব হলেও, পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মোটরসাইকেল ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই ভালো।

কিছু টিপস:

  • সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এর প্ল্যান করলে অবশ্যই হাতে ১-২ দিন সময় নিয়ে যাবেন।
  • যদি একদিনে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে চান, তাহলে অবশ্যই সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসার চেষ্টা করবেন। কারণ, সন্ধ্যার পর পাহাড়ি রাস্তা বেশ নির্জন এবং অন্ধকার হয়ে যায়।
  • ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই গাড়ির ভাড়া এবং থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে যাবেন।

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ: কোথায় খাবেন?

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এ এসে কোথায় খাবেন, কী খাবেন, এনিয়ে চিন্তিত? সাজেক ভ্যালি-তে খাবারের জন্য বেশ কিছু অপশন রয়েছে। আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন যেকোনোটি।

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির অপরুপ চিত্র

রিসোর্ট/ কটেজ/ গেস্ট হাউস:

সাজেক ভ্যালি-তে থাকার জন্য যেসব রিসোর্ট, কটেজ বা গেস্ট হাউস রয়েছে, সেগুলোতে সাধারণত খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। আপনারা যেখানে থাকবেন, সেখানেই উন্নতমানের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। বেশিরভাগ রিসোর্ট/কটেজে বাঙালি খাবার, চাইনিজ, এমনকি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খাবারও পরিবেশন করা হয়।

পানখাই পাড়া ও নিউজিল্যান্ড পাড়া:

সাজেক ভ্যালি-র ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে চলে যেতে পারেন পানখাই পাড়ায়। এখানে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বাঁশের ভেতর রান্না করা খাবার (ব্যাম্বু চিকেন), এবং অন্যান্য আদিবাসী খাবার পাওয়া যায়। পানখাই পাড়ার পাশেই রয়েছে মনোরম “নিউজিল্যান্ড পাড়া”। তাই খাওয়া দাওয়ার ফাঁকে এই সুন্দর স্থানটিও ঘুরে দেখতে পারেন।

রুইলুই ও কংলক পাড়া:

আদিবাসীদের সাথে বসে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেওয়ার অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে যেতে পারেন রুইলুই ও কংলক পাড়ায়। এখানে আদিবাসীদের ঘরেই খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে আগে থেকে বলে রাখতে হবে। তারা আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার রান্না করে দেবে। এতে করে আপনি খাঁটি আদিবাসী খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ

কিছু টিপস:

  • সাজেক ভ্যালি-তে খাবারের দাম তুলনামূলক একটু বেশি।
  • আগে থেকে বলে রাখলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার রান্না করে দিবে রেস্তোরাঁ বা আদিবাসী পরিবারগুলো।
  • বাঁশের ভেতর রান্না করা খাবার (ব্যাম্বু চিকেন) সাজেক ভ্যালি-র একটি জনপ্রিয় খাবার, এটি চেখে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন: কম খরচে দার্জিলিং কীভাবে যাবেন, কোথায় ঘুরবেন?

শেষ কথা এবং কিছু পরামর্শ

সাজেক ভ্যালি-তে মেঘের শুভ্রতার সাথে অরণ্যের সবুজের মিশেলে তৈরি হয় এক অপরূপ ক্যানভাস। তিন তিনটি হেলিপ্যাড থেকে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, এবং ক্ষণে ক্ষণে বদলাতে থাকা প্রকৃতির রূপ অবলোকন করা, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ-এর অন্যতম আকর্ষণ।
কবি জীবনানন্দ দাশের ভাষায় বলা যায়,

“বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর; অন্ধকারে জেগে ওঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি – চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ।”

সাজেক ভ্যালি-র আবহাওয়াও ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। এই রোদ তো এই বৃষ্টি, আবার পরক্ষণেই একরাশ মেঘ এসে ঢেকে দেয় পুরো উপত্যকা। সৃষ্টি হয় এক মায়াবী পরিবেশ। এই মেঘ, এই রোদের খেলা, প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আজই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। আর ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি থেকে।

কিছু পরামর্শ:

  • সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন।
  • যেহেতু সাজেক ভ্যালি একটি পাহাড়ি এলাকা, তাই ভ্রমণের সময় সাবধানে চলাফেরা করবেন।
  • পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।
  • আদিবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং তাদের রীতিনীতি মেনে চলুন।
  • সাজেক ভ্যালি-তে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা রয়েছে। তাই পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন।
  • প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সাথে রাখুন।
  • সাজেক ভ্যালি-তে মশার উপদ্রব রয়েছে। তাই মশা প্রতিরোধক ক্রিম সাথে রাখুন।
  • আরামদায়ক জুতা পরুন।
  • বর্ষাকালে গেলে রেইনকোট, ছাতা নিতে ভুলবেন না।
  • শীতকালে গেলে অবশ্যই গরম কাপড় নিয়ে যেতে হবে।
  • সাজেক ভ্যালি-তে পানির সুব্যবস্থা সব জায়গায় নেই, তাই সাথে পানি রাখুন।
  • যাওয়ার রাস্তা বেশ আঁকাবাঁকা, তাই প্রয়োজনে মোশন সিকনেস এর জন্য ওষুধ সাথে রাখুন।
  • সাজেক ভ্যালি-তে সব মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না, তাই যাবার আগে জেনে নিন কোন সিমটি ভালো কাজ করে।

আশা করি, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ আপনার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ভ্রমণ হয়ে থাকবে।